“তাজমহলের মতো একটি মাস্টারপিস একমাত্র শাহজাহানই তৈরি করতে পারেন এবং তাজমহলের তুলনায় গোশালা তৈরির ধারণা যেন ময়ুরের মুকুট দিয়ে কাকের মাথা সাজানোর মতো”
চারদিকে যেন শোঁ শোঁ করে ভয়ের বাতাস বইছিল। সুশোভিত বাগানের ফুলগুলি ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল এমনকি কিচিরমিচির করা পাখিরাও কালো দেবীর আওয়াজে ঝিমিয়ে পড়েছিল। অন্যদিকে অশুভ শক্তির দেবতা আনন্দে মেতে উঠেছিল, সুখে এতটাই মতোয়ারা হয়েছিল যে আনন্দে ঘুম আসছিল না কারণ তারা বুড়ো নাগের পক্ষ থেকে আদেশ পেয়েছিল যে এখন বাগানের অধিবাসীদের মধ্যে সাদা টুপি ধারণকারীদের সিদ্ধান্তের ঘোষণা শোনানোর সময় চলে এসেছে। এই নিপীড়নমূলক সিদ্ধান্তে ফলে সে আরও ক্রুদ্ধ ও নিষ্ঠুর হয়ে উঠবে। তাই পুরো বাগানকে আগেই ভয়ের বিষাক্ত ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন করে দেওয়া যাতে করে তারা এই ধোঁয়ার কারণে শুধু কাশতে থাকে কাশি ছাড়া আর কিছুই না করতে পারে। ভয়ের বিষাক্ত বাতাস দ্রুত বইতে শুরু করে এবং দেখতে দেখতেই বাগানের সাধারণ তৃণভূমিও ধোঁয়ায় জড়িয়ে পড়ে। নিপীড়িতরা অসহায়ত্বের মূর্তিতে পরিণত হয়ে ওঠে কারণ তাদের কাছে এমন কোন শক্তিশালী মন্ত্র ছিল না যে মন্ত্র পড়লে তাদের নেশা চূর্ণ হয়ে যাবে। সে ধোঁয়া এতটাই বিষাক্ত ছিল যে অসহায় ও নিপীড়িতদের যখন দমবন্ধ হতে শুরু করে এবং তাদের দেহগুলি দুর্বল হয়ে পড়ে তখন সেই সহানুভূতিশীল চোখগুলিও বেদনাদায়ক অশ্রু ঝরাতে বাধ্য হয়ে যায়।
সে ভাবছিল...............
সাদা টুপিটির জাঁকজমক কেবল বুড়ো নাগের জন্য নয় বরং কালো নাগের জন্যও আকর্ষণীয় ছিল। সাদা টুপির ঔজ্জ্বলতায় তাদের চোখ যখন ঝলমলে হয়ে গেছে তখন লাল রঙের টিকাও যেন তাদের নিজেদেরকে দাসত্বের চিহ্ন মনে হতে শুরু করেছিল। তার এমন মনে হত যে, গুলিস্তানের মালিক হওয়া সত্ত্বেও সে এখনও মাথা উঁচু করে চলতে পারছে না এবং যতক্ষণ না সাদা টুপির ঔজ্জ্বলতা চকমক করতে থাকবে ততক্ষণ লাল টিকা ম্লানই থাকবে। আসলে এটি ছিল তার মানসিকতা এবং তার সমতুল্য, অন্যথায় সে নিজেই জানত যে সাদা টুপির এখন কেবলমাত্র একটা ঝলক রয়ে গেছে, অন্যান্য সমস্ত রঙ লাল রঙে রাঙ্গায়িত হয়ে গেছে, এমনকি মানুষের পাশাপাশি প্রাণীও লাল টিকা পরে আর প্রাণীরাই বা কেন পরবে না? তারা তো গর্বিতবোধ অনুভব করছিল যে তারা প্রাণী হয়েও এখন মানুষের মর্যাদায় দাঁড়িয়ে আছে। কারণ তাদের নামে তো এখন একজন মানুষ অপর মানুষকে হত্যা করে প্রাণী হয়ে উঠছে। মানুষের এই বর্বরতা দেখে প্রাণীরা তাদের নিজেদের প্রাণী বলে আনন্দিত ও গর্বিত হতে থাকে। যদি তারা মানুষ না হত তবে স্বার্থপরতা বজায় রাখতে তাদের কতটা নীচে নামতে হত তা বলা দুস্কর। এ জাতীয় নিরর্থক কান্ডকারীদের বুদ্ধি নিয়ে শোক পালন করতঃ গরুগুলো তাদের গাধার চেয়েও অধম বলে মনে করে। এবং তারা ভুলে যায় যে গাধা যতই দাম্ভিক হোক এবং জ্ঞানী বলে মনে করার চেষ্টা করুক, গাধা কখনও ঘোড়া হতে পারে না।
অতঃপর একদিন বুড়ো নাগের পক্ষ থেকে গুলিস্তানের জন্য একটি নতুন ইশতেহার প্রকাশিত হল। তাতে লেখা ছিল আইনত, প্রাণীগুলিকে এখন মানুষের মর্যাদা দেওয়া হল। এই ঘোষণা প্রকাশ হওয়ামাত্র গরুর ঘাড়ে ফুলের মালা শোভিত হয়েছে এবং গোশালাগুলো আধুনিক চিকিত্সা পরীক্ষাগারে পরিণত হয়ে গেছে। এখন সমস্যাটি শুধু এটুকু নয়, ঘৃণার জীবাণুগুলি যখন গরুর প্রেমে জড়িত হয়েছিল, সাদা টুপিটি দেখামাত্রই, তার ছুঁচলো শিং থেকে রক্ত প্রবাহিত হতে শুরু করছিল। রক্তবর্ণ শিংয়ের সন্ত্রাস এতটা ছড়িয়ে গেল যে মানুষ তো মানুষ এমনকি অন্যান্য প্রাণীগুলোও গরুর প্রশংসা করতে বাধ্য হয়ে গিয়েছিল। তারা এখন মেনে নিতে শুরু করেছিল যে গরুটি একটি পবিত্র প্রাণী এবং গোশালা আধুনিক কালের লাল কেল্লা। ফলে গরু এখন আর সাধারণ প্রাণী ছিল না, বরং 'গরু-সমুরাই' -এর স্থান পেয়ে গিয়েছিল এবং কালো নাগ গোশালার সিংহাসনে আসীন গরুর চারপাশে ফোনা তুলে বসে থাকত। গুলিস্তানের দৃশ্য দেখে আধুনিক যুগের পাখিরা প্রাচীন কালের অজ্ঞতা স্মরণ করে হাততালি দিত এবং রসিকতা করে মজা নিত।
গুলিস্তানের সবুজ চারণভূমিতে যেন কালো ধোঁয়া চরমভাবে ছড়িয়ে পড়ছিল। তবে আশ্চর্যের বিষয়টি হল কালো নাগ গর্জন করে ধোঁয়াকে আলো হিসাবে উপস্থাপন করার জন্য তাদের পায়ের পাতা এবং গোড়ালি পর্যন্ত ঘোষে দিত আর এত গর্বের সাথে মিথ্যে বলত যে সত্যও লজ্জায় মাথা ঢাকতে বাধ্য হয়ে যেত। এখন, যারা শান্তিপ্রিয় লোকেরা তাদের গর্জন ও মিথ্যে কার্যকলাপের পর্দা ফাঁস করার চেষ্টা করত, তখন হয়ত তাদের কণ্ঠস্বরকে চিরদিনের জন্য বসিয়ে দেওয়ায় হত নয়ত বা তাদের দম কালো ধোঁয়ার চাপা পড়ে থাকত।
এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে অতীতের মানচিত্রটি তার চোখের সামনে ঘুরতে শুরু করল .....
গুলিস্তানে সাদা টুপি এবং লাল টিকার মধ্যে এই ঐতিহাসিক টানা-পড়া বহু মরশুম ধরে চলছিল। আসলে, লাল টিকার অনুসারীরা ভাবছিল যে সাদা টুপি ধারণকারীরা জোর করে গুলিস্তানে প্রবেশ করেছে। নইলে আমরাই তো গুলিস্তানের প্রকৃত মালী এবং বহু শতাব্দী ধরে তারা গুলিস্তানের আবহাওয়াকে তাদের নিঃশ্বাসের অধীনে রেখে লাল টীকাকে ম্লান করে এসেছে। কিন্তু আসলে তারা বাস্তব থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছিল। কেননা সুন্দর সুশোভিত এই ফুলের বাগানটি সাদা টুপির উজ্জ্বল যুগে অস্তিত্বে আসে, অন্যথায় এটি বিভিন্ন চিমনিতে বিভক্ত ছিল। তাদের শীতল প্রশ্বাসের কারণেই এই গুলিস্তান সোনার চড়ুইয়ে পরিণত হয়েছিল অতঃপর যখন সাদা হাতি গুলিস্তানের চিমনিতে আছড়ে পড়েছিল তখন কেবল সাদা টুপিওয়ালারাই শহীদ হয়েছিল এবং গুলিস্তানকে বাঁচাতে 'সিংহ' উপাধি অর্জন করতে সফল হয়েছিল। বাকী লোকেরা, শিয়ালের মতো প্রতারণার পোশাক পরে, সাদা হাতির এঁটো চাটতে পছন্দ করেনি।
অতীতের স্মৃতি থেকে বেরিয়ে সে আবার বর্তমানের কথা ভাবতে শুরু করল .......
এখন অবস্থা এমন যে, সাদা টুপি ধারণকারীদের কখনও অনুপ্রবেশকারী বলে এবং কখনও কখনও বিতাড়িত করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে ধমকানো হয়। অথচ তারা বুঝতে পারে না যে এর দ্বারা তারা মানবতাবাদকে লাঞ্ছিত করছে। বাস্তবে তাদের বুদ্ধি লোপ পেয়েছে তারা আলো থেকে চোখ সরিয়ে গুলিস্তানকে বহু শতাব্দী প্রাচীন অন্ধকারের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যেতে উঠে পড়ে লেগেছে।
গুলিস্তানের পরিবেশে যেন উত্তেজনার মেঘ নাচছিল। আর মেঘের এই নাচ কয়েক মরশুম ধরে অবিরাম চলছে। ধীরে ধীরে জাফরানের রঙ যেন কালো ধোঁয়ায় দ্রবীভূত হয়ে চলেছে, যার দ্বারা অনেকেই প্রতারণার শিকার হয়ে যায় যে, সম্ভবত এই ধোঁয়াটি অদৃশ্য (শেষ) হয়ে যাবে এবং জাফরানের ঘ্রাণটি পুরো বায়ুমণ্ডলে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু তারা এটা ভুলে যায় যে এই ধোঁয়ার পিছনে যে আগুন জ্বলছে তা পুরো গুলিস্তানকে ধ্বংস কর দিতে পারে। কেননা এই ধোঁয়া সাফল্যের লক্ষণ নয় বরং এটি কিছু স্বার্থপর লোকের স্বার্থপরতার পরিচায়ক যারা তাদের অহমের আগুন নিভানোর জন্য পুরো গুলিস্তানকে আগুনের শিখায় ফেলে দিচ্ছে।
অতঃপর একদিন জঙ্গলের আইনে বুড়ো নাগ জোর করে গুলিস্তানের একটি লন থেকে সাদা টুপির ঝলকানি (ঔজ্জ্বলতা) সরিয়ে দেওয়ার অন্ধ সিদ্ধান্ত নিয়েছিল যাতে করে জাফরান উপত্যকার প্রাকৃতিক রঙে তার কৃত্রিম গেরুয়া রঙ এঁকে দেওয়া যায়। এই অন্ধ সিদ্ধান্ত শুনে কালো নাগ আনন্দে লাফিয়ে উঠে। কিন্তু এই সিদ্ধান্তের কারণে গুলিস্তানের উজ্জ্বল প্রকৃতির চোখের সামনে অন্ধকার নেমে এল কেননা তারা বুঝতে পেরে গিয়েছিল যে এটি এই উজ্জ্বল যুগের অন্ধ সিদ্ধান্ত এবং এই সিদ্ধান্তের কারণেই পুরো গুলিস্তান অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে।
জঙ্গলের আইনে নিপীড়নমূলক রায় দেওয়ার আগে, জাফরান উপত্যকার প্রতিটি ফুলের উপর কালো দৈত্যে তার ছায়া ঘোরাতে শুরু করেছিল এবং উপত্যকার অসহায় বাসিন্দাদের নিপীড়িত শ্বাস-প্রশ্বাসকেও কালো ছায়ায় ফাঁদে আটোক করে রেখেছিল। অজ্ঞতা ও গণহত্যার এই ভয়াবহ নাচ দেখে ন্যায়বিচারালয়ের ঘরের ঘণ্টাগুলোও বোবা হয়ে যায় এবং গণতন্ত্রও তার দেহকে জ্বলন্ত অনুভব করতে থাকে। জাফরান উপত্যকার নিঃশ্বাসে কালো দৈত্য কালো ধোঁয়া দ্রবীভূত করতে থাকে এবং অসহায় মানুষ ধোঁয়ার কারণে কেশে কেশে মূর্ছিত হতে থাকে। নিপীড়নের এই তরোয়াল দীর্ঘদিন ধরে বাতাসে টহল দিতে থাকে এবং লাল টিকা আনন্দে জ্বলজ্বল করতে থাকে। সে ভাবছিল যে জঙ্গলের আইনে সাদা টুপির ঝলক চুরি করে এখন শুধু লাল টিকার ঝলক ছড়িয়ে পড়বে এবং এর জাফরান উপত্যকাতেও তার গেরুয়া রঙ ছড়িয়ে পড়বে .... তবে...
একদিন রাতে কাশ্মীরি খান যখন বাসা থেকে বেরিয়ে এলো তখন কালো দেবতাদের চোখ লাল হয়ে গেল।
“এত দিন পর বাড়ি থেকে বেরোনোর সাহস কী করে হলো?” একটি ভয়ানক আওয়াজ কর্ণগুহরে এসে পৌঁছাল।
“আমার বাচ্চা অসুস্থ।” যদিও ভয়ানক কন্ঠে কাশ্মীরি খানের বুক কাঁপছিল, তবু সে শান্ত গলায় বলল। “সে ধোঁয়ার কারণে অসুস্থ, তাকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে দিন।”
“আচ্ছা...” একটি কালো দৈত্য হেঁসে বলল, এবং তারপর চিৎকার করে বলল, “দূর হো ... ঘরে গিয়ে চুপচাপ বস”।
“কিন্তু সে অনেকদিন ধরে অসুস্থ।” কাশ্মীরি খান হাতজোড় করে প্রার্থনা করতে লাগল। “আমি আর সহ্য করতে পারছি না। তাছাড়া বাড়িতে আর খাওয়ার-দাওয়ারও কিছু বেঁচে নেই।”
“বললাম না চুপচাপ বাড়িতে গিয়ে বস” অশুভ শক্তির দেবতা হুমকি দিয়ে বলল। “আর এখনও মাথায় এই সাদা টুপি পরে আছিস?”
“রাখব নাই বা কেন?” কাশ্মীরি খান তার মত বদল করে বলল। “তোমরা কি মনে করো তোমাদের ধোঁয়ার ভয় কি আমাদের পরিচয় কেড়ে নেবে?”
“তোমাদের পরিচয়......... হাহাহা,” কালো দৈত্যটি বিদ্রূপ করতে লাগল। “এখানে তো সকলেই খুশি আর তুমি নিজের পরিচয়ের কথা নিয়েই পড় আছ? কোন দুনিয়ায় থাকো?”
“আচ্ছা, এখানে সকলেই খুশি” কাশ্মিরী খান রাগে লাল হয়ে বলে উঠল। “কালো ধোঁয়ার ভয়টা একটু কমতে দাও তারপর দেখবে তোমার এই অন্ধ রাজত্বে লোক কত খুশি...”
এটা শোনা মাত্র কালো দৈত্য বেরিয়ে এলো এবং সত্তর বছর বয়সী কাশ্মীরি খানের কাশি ধীরে ধীরে কালো ধোঁয়ায় গলে গেল।
সময় বদলেছে ...
একদিন, যখন একটি গরুর সামনে একজন নিষ্পাপ সাদা টুপিওয়ালাকে কালো নাগ দংশন করে করে মেরেই ফেলেল এটা দেখে গরুর চোখও অশ্রুসিক্ত হয়ে উঠল। সে এমনটা অনুভব করল যেন তার সামনে তাঁরই বাছুরটিকে বুনো কুকুর কামড়ে খেয়ে নিয়েছ। গরুটি ভাবতে শুরু করে যে, যে মানুষকে সে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছে এবং যারা তাঁকে ভালোবেসে খাওয়াতো, এখন তাদেরই রক্তে তার শিং রাঙ্গায়িত করা হচ্ছে, যার কারণে সে নিজের প্রজন্মের কাছেও লজ্জায় জর্জরিত, এসব দেখে তাঁর মাতৃস্নেহ তাকে জেগে উঠল। সে সিংহাসন থেকে লাফিয়ে উঠে শিং মেরে মেরে তা ভাঙতে শুরু করল।
জাফরান উপত্যকায় আচ্ছন্ন ধোঁয়ার মাঝে আগুনের শিখা ছড়িয়ে পড়ল এবং দেখতে দেখতে শিখাগুলো কালো দৈত্যগুলোকে জাপ্টে ধরে। অগ্নি শিখার তাণ্ডবে না কালো দেবীর লাল টিকার উজ্জ্বলতা বাঁচতে পেল আর না কালো নাগ নিজেদের গেরুয়া তাজের কোন চিহ্ন খুঁজে পেল এখন তারা আগ্নি শিখায় জ্বলে কয়লা হয়ে রয়ে গেল।
এটা দেখে সে অবাক হয়ে গেল।
এখন কেবল জাফরান উপত্যকায় সাদা টুপি জ্বলছিল তা নয় বরং পুরো গুলিস্তান কালো ধোঁয়া থেকে মুক্ত ছিল। লাল টিকা বিবর্ণ হয়ে গিয়েছিল। কালো নাগ ফোনা তোলার পরিবর্তে সিংহাসনের নির্জনতা দেখে তিনি দুঃখে হাতের উপর হাত রেখে মলছিল এবং অতি চালা বুড়ো নাগ তার নিজের ছড়ানো ধোঁয়ায় কাশি কাটছিল এবং ইতিহাসের অপ্রতিরোধ্য সিদ্ধান্তে কাঁপছিল।
“তাজমহলের মতো একটি মাস্টারপিস একমাত্র শাহজাহানই তৈরি করতে পারেন এবং তাজমহলের তুলনায় গোশালা তৈরির ধারণা যেন ময়ুরের মুকুট দিয়ে কাকের মাথা সাজানোর মতো”
মতামত দিন