
কুঁদে পাওয়া নারীর বিচিত্র খেলা
কলমেঃ রুমা পারভিনারা
কুঁদে পাওয়া নারীর বিচিত্র খেলা
------------------------------------------------------------------
নারী! তোর কত সুধা বল?
তোর কত চিহ্ন! নাকি ঈশ্বরের রঙ তুলিতে,
আঁকা তুলেট কাগজ স্বরূপ!
কি বিস্ময়! নাকি তোর চিহ্নের প্রতীক,
শুধু তোর এই চিত্রায়িত কায়া!
তোর কত চিহ্ন! বক্ষ যুগলের উপর পার্শ্বে,
সে নাকি ঈশ্বরের এক বাদামি রঙের ছোঁপ!
নারী! নাকি তোর উরু যুগল দুই পদ্মপাতার মতো
চকচকে দুই পরগণা!
নারী! তোর দুই উরুর দুই পরগণার ঠিকানাও
নাকি আছে – এক সতীত্বের অন্য সতীত্বহীনতার?
নারী! তর পৃষ্ঠ নাকি এক পালঙ্কের
উপর বিছানো মখমলের নরম বিছানার সম!
তোর চোখ দুটো নাকি কত স্বপ্নের নেশা ধরায়
সমাজপতি পুরুষতান্ত্রিকতার!
তোর দু হস্থ! সেট নাকি দুই দুয়ার – একখানি
নেশা ধরানোর পথে উন্মুক্ত করার আর অন্যখানি রুদ্ধ করার?
তোর নাসিকা! সেতো নাকি তুলনারহিত।
চিকন, নেশা জাগানো বাঁশির সুর তোলা যন্ত্র।
তাহলে আর রইল বাকি কি পদপাদ্ম – সে তো
নাকি নেশার বুদবুদেরদের আগমনের রেশমরুট!!
বাহ! সত্যি নারী ঈশ্বরের কৃপণতা
ভুলে গেছে তোর সৃষ্টির তদক্ষণে।
ধন্য নারী! ধন্য তুই! ঈশ্বরের তোকে সৃষ্টির মাঝারে
জগৎবাসী কুঁদে পেল তার বিচিত্র খেলা।
বিচিত্র রূপ, বিচিত্র বিচিত্র ঠিকানা।
তোর ঠিকানার নাইকো তুলনা।।
তোর ঠিকানার বিচিত্রতার মাঝে কত বিচিত্র চিত্রিততার কত খেলা।
কুঁদে পাওয়া তুই সেই নারী।
তোর মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে কুঁদে পাওয়া নারীর কত বিচিত্র খেলা!!
মতামত দিন